০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এনএসআইয়ের তিন কর্মকর্তা ড. ইউনূসকে হয়রানির মূল কারিগর

Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৯৬ Time View

#ডেস্ক রিপোর্ট

এন‌এস‌আই-এর তিন কর্মকর্তা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে দুজন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এই কর্মকর্তারা হলেন এন‌এস‌আই এর যুগ্ম পরিচালক বদরুল আহমেদ (বিদ্যুৎ), উপ-পরিচালক আমিনুল হক পলাশ ও সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন খন্দকার। এই কর্মকর্তারা বর্তমানে বিদেশে পালিয়ে আছেন। পলাতক উপ-পরিচালক আমিনুল হক পলাশ ড. ইউনূসকে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার আমলে দায়ের করা মামলার ও হয়রানির মূল কারিগরি হিসাবে পরিচিত। এর আগে এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি টিএম জোবায়ের তাকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার যাবতীয় বিষয় দেখাশোনার দায়িত্ব দেন। তিনি এবং এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আজিজুর রহমান ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কতসংখ্যক মামলা দেওয়া যায়, কী কী ধরনের মামলা দেওয়া যায়, সাক্ষী এবং অভিযোগকারী কাকে কাকে করা যায়, গ্রামীণ ব্যাংক এবং গ্রামীণ বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারীদের, বিভিন্ন সময়ে চাকরি যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কীভাবে মামলার কাজে, রাজপথে প্রতিবাদের কাজে লাগানো যায়, আইনজীবী কাদের নিয়োগ করা যায়, মামলার উপযুক্ত আর্জি তৈরি করা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করেন।

ড. ইউনূস এর মামলা হওয়ার পর ওই কর্মকর্তারা ড. ইউনূস যাতে হয়রানির শিকার হন, নির্যাতনের শিকার হন সে জন্য আদালতে লিফট বন্ধ করে দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচ-ছয় তলায় উঠানো-নামানো, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে ফ্যান চালানো বন্ধ করা ইত্যাদি কাজ করা হতো। ড. ইউনূস কে হয়রানি প্রসঙ্গে তার আইনজীবী বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মামলা দিয়ে যত ধরনের হয়রানি করা ও আদলতে একের পর এক মামলা করে এবং গোয়েন্দা সংস্থা লাগিয়ে ড. ইউনূসকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসা নিয়ে তার চিন্তা-ভাবনাকে বিতর্কিত করার নীলনকশা হিসেবে এসব মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুনের বলেন, ড. ইউনূস সাহেবের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর কোনো ভিত্তি বা আইনগত মেরিট ছিল না। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এসব মামলা করা হয়েছে। এসব মামলা দিয়ে কীভাবে একজন নোবেল লরিয়েটকে হয়রানি করা হয়েছে, সেটা গোটা বিশ্ববাসী দেখেছে। অনেক দেশ ও খ্যতিমান ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার এসব অন্যায্য আচরণের প্রতিবাদ এবং এটি একটি বিশ্বে বিরল ঘটনা বলে দাবি করেছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এনএসআইয়ের তিন কর্মকর্তা ড. ইউনূসকে হয়রানির মূল কারিগর

Update Time : ০১:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

#ডেস্ক রিপোর্ট

এন‌এস‌আই-এর তিন কর্মকর্তা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে দুজন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এই কর্মকর্তারা হলেন এন‌এস‌আই এর যুগ্ম পরিচালক বদরুল আহমেদ (বিদ্যুৎ), উপ-পরিচালক আমিনুল হক পলাশ ও সহকারী পরিচালক তানভীর হোসেন খন্দকার। এই কর্মকর্তারা বর্তমানে বিদেশে পালিয়ে আছেন। পলাতক উপ-পরিচালক আমিনুল হক পলাশ ড. ইউনূসকে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার আমলে দায়ের করা মামলার ও হয়রানির মূল কারিগরি হিসাবে পরিচিত। এর আগে এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি টিএম জোবায়ের তাকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার যাবতীয় বিষয় দেখাশোনার দায়িত্ব দেন। তিনি এবং এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আজিজুর রহমান ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কতসংখ্যক মামলা দেওয়া যায়, কী কী ধরনের মামলা দেওয়া যায়, সাক্ষী এবং অভিযোগকারী কাকে কাকে করা যায়, গ্রামীণ ব্যাংক এবং গ্রামীণ বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারীদের, বিভিন্ন সময়ে চাকরি যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কীভাবে মামলার কাজে, রাজপথে প্রতিবাদের কাজে লাগানো যায়, আইনজীবী কাদের নিয়োগ করা যায়, মামলার উপযুক্ত আর্জি তৈরি করা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করেন।

ড. ইউনূস এর মামলা হওয়ার পর ওই কর্মকর্তারা ড. ইউনূস যাতে হয়রানির শিকার হন, নির্যাতনের শিকার হন সে জন্য আদালতে লিফট বন্ধ করে দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে পাঁচ-ছয় তলায় উঠানো-নামানো, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে ফ্যান চালানো বন্ধ করা ইত্যাদি কাজ করা হতো। ড. ইউনূস কে হয়রানি প্রসঙ্গে তার আইনজীবী বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মামলা দিয়ে যত ধরনের হয়রানি করা ও আদলতে একের পর এক মামলা করে এবং গোয়েন্দা সংস্থা লাগিয়ে ড. ইউনূসকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসা নিয়ে তার চিন্তা-ভাবনাকে বিতর্কিত করার নীলনকশা হিসেবে এসব মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুনের বলেন, ড. ইউনূস সাহেবের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর কোনো ভিত্তি বা আইনগত মেরিট ছিল না। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই এসব মামলা করা হয়েছে। এসব মামলা দিয়ে কীভাবে একজন নোবেল লরিয়েটকে হয়রানি করা হয়েছে, সেটা গোটা বিশ্ববাসী দেখেছে। অনেক দেশ ও খ্যতিমান ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার এসব অন্যায্য আচরণের প্রতিবাদ এবং এটি একটি বিশ্বে বিরল ঘটনা বলে দাবি করেছিলেন।